Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

উদ্ভিদ সংগনিরোধ : কৃষি পণ্য বহিঃদেশীয় বালাই নিয়ন্ত্রণে

ড. জগৎ চাঁদ মালাকার

বাংলাদেশ পৃথিবীর কৃষি প্রধান একটি দেশ। বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি জোগানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশের মোট শ্রম শক্তির শতকরা ৪৫.৬ ভাগ কৃষি কাজে নিয়োজিত।  ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৫.৩৩% (অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১৬)। দেশের মোট জনসংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৬ কোটি অতিক্রম করেছে। প্রতি বছর এই জনসংখ্যার সাথে ২০ লক্ষ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। এই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যের প্রয়োজন। তাই ক্ষুদ্র দেশের বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরি। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু কৃষি জমির উপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অব্যাহত চাপ, প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়া, প্রতি বছর আমদানিকৃত উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্যের সাথে বা বিভিন্ন উপায়ে বালাই প্রবেশ করে ফসল বিনষ্ট হওয়ার কারণে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছে।    ২০১২-১৩ সালে যেখানে উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৫ লক্ষ মেট্রিক টনের মতো সেখানে বর্তমান ২০১৭-১৮ তে  আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ মেট্রিক টন  অপরদিকে একই সময়ে যেখানে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮ লক্ষ মেট্রিক টন সেখানে গত ৬ বছরে রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ২ লক্ষ টন বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টনের মত (৯.৯৫ লক্ষ মে.টন)।   


কৃষি খাদ্য আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি ফসল ফলাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সাথে সাথে ব্যবহার করতে হবে লাগসই প্রযুক্তি। আর ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করতে হবে সার, সেচ, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি। সরকারি নির্দেশনা মেনে সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিটি অফিসের পতিত জমি কৃষি কাজে লাগানোর কার্যকরি উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। আগামী দিনের কৃষিতে করোনার মতো অজানা রোগ জীবাণু সংক্রমণ ঘটলে খাদ্য সমস্যা হতে পারে।


বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির এখনও প্রাণশক্তি। সীমিত কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার, শস্য চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি, উন্নত কৃষি ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেও বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগানের ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশে গত অর্থবছরে এক কোটি  ছিয়াশি লক্ষ মেট্রিক টন উদ্ভিদ ও উদ্ভিজাত পণ্য আমদানি করতে হয়েছে যা পাঁচ বছর পূর্বেও ছিল মাত্র এর অর্ধেকেরও কম। এভাবে উদ্ভিদ ও উদ্ভিজাত পণ্য আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে আমরা অন্য সেক্টর থেকে যে  বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্ত হই তা দিয়েও খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা কষ্টকর। তাছাড়া যে পরিমাণে আমরা পণ্য আমদানি করি তার মাধ্যমে যেকোন পণ্য দিয়ে বা যেকোন ভাবে বিদেশ থেকে ফসলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বালাই দেশে প্রবেশ করে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত করতে পারে যেমন বর্তমানে গমের ব্লাষ্টের কারণে গত তিন বছরে আমাদের উৎপাদন কমেছে প্রায় তিন লক্ষ মেট্রিক টন আবার গত বছর ভুট্টার ফল অর্মি ওয়ার্ম  প্রবেশের মাধ্যমে আশানুরূপ ভুট্টার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে বিদেশী বালাই প্রবেশরোধের মাধ্যমে দেশের কৃষিকে রক্ষা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে এবং উৎপাদনশীলতা ধরে রাখতে ও দারিদ্র্য বিমোচনে ধপপৎবফরঃবফ ষধনড়ৎধঃড়ৎু গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।


বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধবনীতির কারণে দানাদার খাদ্যশস্যের পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে দেশে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শাকসবজি উৎপাদনে বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। কিন্তু উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য রপ্তানির এক বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও সেই সুযোগ আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না। আমাদের দেশে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে এখনো অর্গানিক ফার্মিং/কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ব্যাপক প্রসার ঘটেনি। ফলে প্রথাগতভাবে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক, সার ইত্যাদি ব্যবহার হচ্ছে। আর কনট্রাক্ট ফার্মিং ছাড়াই কৃষিজাত এই সব পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত তাতে কী কী ইনপুট (সার, কীটনাশক ইত্যাদি) কী মাত্রায়, কখন প্রয়োগ করা হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে শাকসবজি সংগ্রহ করে কীটনাশক অবশিষ্টাংশের বিষক্রিয়ার মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ধপপৎবফরঃবফ ষধনড়ৎধঃড়ৎু না থাকায় দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য এম.আর.এল অথবা একসেপটেবল ডেইলি ইনটেক (এডিআই) মাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।


বর্তমানে বাংলাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোন ধপপৎবফরঃবফ ষধনড়ৎধঃড়ৎু নাই। বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র এবং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চষধহঃ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়হাবহঃরড়হ (ওচচঈ) এ স্বাক্ষরকারী দেশ। তাই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেশের কৃষিকে রক্ষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডঞঙ-ঝচঝ অমৎববসবহঃ এবং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চষধহঃ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়হাবহঃরড়হ (ওচচঈ) এর বিধিবিধান অনুসরণ করা সকল দেশের জন্য বাধ্যতামূলক। ডঞঙ-ঝচঝ অমৎববসবহঃ এবং ওচচঈ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করার জন্য পৃথিবীর সকল দেশই আলাদাভাবে স্বতন্ত্র স্বাধীন সংস্থা সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশে অদ্যাবধি সৃষ্টি হয়নি। ফলে বাংলাদেশে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যক্রম গতি লাভ করছে না। ওচচঈ এর বিধান অনুসারে উদ্ভিদ সংগনিরোধের যে সংস্থা থাকবে তার অফসরহরংঃৎধঃরাব, খবমরংষধঃরাব ধহফ ঋরহধহপরধষ ক্ষমতা থাকতে হবে। বর্তমান সরকার ২০১১ সালে উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন পাস করেছে ।


উদ্ভিদ সংগনিরোধ একটি পুরোপরি কারিগরি ও আইনি বিষয়। দেশের কৃষিকে রক্ষা করার জন্য যেমন আমদানিকৃত পণ্যে বিদেশী কোন বালাই আছে কি না তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষান্তে নিশ্চিত হতে হয়, ঠিক তেমনি রপ্তানিকৃত পণ্য আন্তর্জাতিক বিধিবিধান মতে আমদানিকারক দেশের আমদানি শর্ত পূরণ হয়েছে কিনা তাও মাঠপর্যায়ে এবং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষান্তে নিশ্চিত হতে হয়। যারা নিয়মিত এ কাজগুলো করবেন তারা দক্ষতা অর্জন করবেন কিন্তু তারা যদি না থাকেন তা হলে আমদানিকারক দেশের আমদানি চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি করা সম্ভব হয় না ঠিক তেমনি আমদানিকৃত পণ্যের সাথে বিদেশী ধ্বংসাত্মক বালাই প্রবেশ করে দেশের কৃষিকেও ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যাবেনা।


বর্তমান সরকার  উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন, ২০১১ অনুযায়ী আলাদা করে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ তৈরি করার কাজ শুরু করেছে। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য জনবলসহ রপ্তানিযোগ্য আলু, শাকসবজি ও ফলমূল  এবং  আমদানিকারক দেশের আমদানি চাহিদা পূরণের জন্য কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে রপ্তানি পূর্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ধপপৎবফরঃবফ ষধনড়ৎধঃড়ৎু ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। অপপৎবফরঃবফ ষধনড়ৎধঃড়ৎু জনবলকে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি), ফাইটোস্যানিটারি ইনসপেকশন, স্যাম্পলিং, উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান, ট্রেড ফেসিলিটেশন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
বহিঃদেশে গধৎশবঃ অপপবংং সৃষ্টি হবে এবং দেশের উৎপাদিত পণ্যের শাকসবজি এবং ফল ডঞঙ-ঝচঝ অমৎববসবহঃ এবং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চষধহঃ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়হাবহঃরড়হ (ওচচঈ) এর বিধিবিধান অনুসরণের মাধ্যমে নিরাপদভাবে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া, ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশে আলু, পান, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং ফলের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে তালমিলিয়ে চলা সম্ভব হবে ফলে রপ্তানিকৃত পণ্যের ইন্টারসেপশন কম হবে। আমদানিকৃত পণ্যের ওহাধংরাব অষরবহ ঝঢ়বপরং (ওঅঝ)/ছঁধৎধহঃরহব চবংঃ বা জবমঁষধঃবফ ঘড়হ ছঁধৎধহঃরহব চবংঃ প্রবেশে বাধা প্রদানের মাধ্যমে দেশের  কৃষিকে বহিঃদেশীয় ধ্বংসাত্মক বালাই থেকে রক্ষা করা হয়।


আগামী দিনের বিশ্ব পরিস্থিতি কী হবে আর আমাদের জন্যই বা কী অপেক্ষা করছে তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। এরই মধ্যে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়ে আগামীতে খাদ্য সংকট হতে পারে মর্মে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছেন। কৃষি মন্ত্রালয়ের দায়িত্বে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী করোনা কালীন সময়ে, খাদ্য সমস্যা মোকাবিলার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দিনের কৃষিতেও করোনার মতো অজানা রোগজীবাণু সংক্রমণের ভয়াল থাবায় খাদ্য সমস্যা প্রকটতর পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। কৃষি পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করা জরুরি। এই কঠিন বাস্তবতা উপলব্ধির এখনই প্রকৃত সময়। প্রয়োজনে এই সংক্রান্ত সেল গঠন করে দেশওয়ারী পণ্যের চাহিদা এবং ফাইটোসেনিটারি শর্তসমূহ সংগ্রহ করে আমাদের দেশ হতে কিভাবে শর্ত পূরণ করে আরো অধিকতর কৃষিজ পণ্য রপ্তানি করা যায় এই ব্যাপারে বিদেশি দূতাবাসে কর্মরত কর্মাশিয়াল কাউন্সলরগণ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারেন। বাংলাদেশি দূতাবাসে নিযুক্ত কানাডা, আমেরিকান কমার্শিয়াল কাউন্সলর মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশি স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করেন যেন তাদের দেশে উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়।
বিধায় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ  ও প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন ল্যাবরেটরি (ধপপৎবফরঃবফ ষধনড়ৎধঃড়ৎু) সৃষ্টি করা হলে বহিঃদেশে গধৎশবঃ অপপবংং সৃষ্টি হবে এবং দেশের উৎপাদিত পণ্যের শাকসবজি এবং ফল ডঞঙ-ঝচঝ অমৎববসবহঃ এবং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চষধহঃ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়হাবহঃরড়হ (ওচচঈ) এর বিধিবিধান অনুসরণের মাধ্যমে নিরাপদভাবে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।


উপপরিচালক (এল.আর), সংযুক্ত- উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা, মোবাইল : ০১৭১৬০০৪৪০০ ইমেইল :  jagot_mala@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon